সুরা ইখলাস,সূরা ফালাক ও সূরা নাসের অসংখ্য ফজিলত 🌺১।
সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস এ তিনটি সূরা সকাল ও বিকাল ৩ বার করে পড়লে সব
ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকা যাবে ।( সহীহ তিরমিযী হা: ২৮২৯
🌺২। প্রতি ফরজ সালাতের পর সূরা ইখলাস ফালাক ও নাস এ তিনটি সূরা একবার করে পাঠ করতে হবে । (আবু দাউদ হা:১৩৬৩)
🌺৩।
নবী (স:) রাতে ঘুমানোর পূর্বে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস একবার করে পড়ে
হাতে ফুকে সমস্ত শরীরে একবার বুলিয়ে দিতেন । এভাবে তিনি ৩ বার করতেন।
(বুখারী তাও: হা:৫০৭০)
🌺৪। যে কোন সময় অসুস্থতা অনুভব করলে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস এ তিনটি সূরা পড়ে শরীরে ফুক দিতে হবে ।(বুখারী হা:৪৬২৯)
🌺৫। জিন ও মানুষের বদনজর থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সূরা ফালাক ও নাস পাঠ করে শরীরে ফুকতে হবে ।(সহীহুল জামে হা:৪৯২০)
১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) (সূরা) ‘কুল
হুওয়াল্লাহু আহাদ’ সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটি কুরআনের এক
তৃতীয়াংশের সমতুল্য”। (মুসলিম ৮১২)
২) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে
বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) (সূরা) ‘কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ সম্পর্কে
বলেছেন, “সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রান আছে, নিঃসন্দেহে এটি
কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য”।
৩) অপর এক বর্ণনায় আছে,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবাগনকে বললেন, ‘তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন
পড়তে অপারগ?’ প্রস্তাবটি তাদের পক্ষে ভারী মনে হল। তাই তারা বলে উঠলেন
‘হে আল্লাহর রাসূল! এ কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে?’ ( অর্থাৎ কেও পারবে
না।) তিনি বললেন, “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস সামাদ” (সূরা ইখলাস)
কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য”। (অর্থাৎ, এই সূরা পড়লে এক তৃতীয়াংশের
কুরআন পড়ার সমান নেকী অর্জিত হয়।) (সহীহুল বুখারি ৫০১৫)
৪) উক্ত
সাহাবী (রাঃ) আরো বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি কোন লোককে সূরাটি বারবার
পড়তে শুনল। অতঃপর সে সকালে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিকট এসে তা ব্যক্ত করল। সে
সূরাটিকে নগণ্য মনে করেছিল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “সেই সত্তার শপথ! যার
হাতে আমার প্রাণ আছে, নিঃসন্দেহে এই সূরা (ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের
সমান”।(সহীহুল বুখারি ৫০১৫)
৫) আনাস (রাঃ) হতে বর্নিত, এক ব্যক্তি
নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি এই (সূরা) ‘কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ’
ভালবাসি। তিনি বললেন, ‘ এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে’। (সহীহুল
বুখারি ৭৭৪)
সূরা ফালাক ও সূরা নাসের ফজিলতঃ
১) উকবাহ বিন
আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একদা বললেন, ‘তুমি কি দেখনি, আজ
রাতে আমার উপর কতকগুলি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে; যার আনুরূপ আর কিছু দেখা
যায়নি? (আর তা হল,) ‘কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক্ক’ ও ‘কুল আউযু বিরাব্বিল
নাস’। (মুসলিম ৮১৪)
২) আবূ সাঈদ খুদরী ( রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন
‘রাসূলুল্লাহ (সূরা ফালাক্ক ও নাস অবতীর্ণ হবার পূর্ব পর্যন্ত নিজ ভাষাতে)
জিন ও বদ নজর থেকে (আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। পরিশেষে যখন উক্ত
সূরা দু’ টি অবতীর্ণ হল, তখন ঐ সূরা দু’টি দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করতে
লাগলেন এবং অন্যান্য সব পরিহার করলেন’। (তিরমিজী ২০৫৮)
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মহানবী (স) আগুনকে কিয়ামতের আলামত হিসাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মহানবী (সা.) আকস্মিক মৃত্যুকে কিয়ামতের আলামত হিসেবে অভিহিত করেছেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই কিয়ামতের...
-
১ / যে নারী পর্দা করে না , বেপর্দা হয়ে চলা ফেরা করে । ২ / যারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে দেহে উল্কি ( সুঁচিবিদ্ধ ...
-
আপনি চাইলেই 10 মিনিটেই আখিরাতের ধনী হতে পারেন,,,,,, একদিন নবী (স) হজরত আলিকে বললেন, (1)চার হাজার দিনার ছদকা করে ঘুমাবেন। (2)এক খতম কোরাআন...
-
এক লোক খুবেই আল্লাহওয়ালা ছিল ।তাকে পথভ্রষ্ট করার জন্য সয়তান তার পিছুনে লেগে থাকতো ।ভোর হলেই সয়তান লোকটির হাত,পা টিপে দিতো যাতে ল...
No comments:
Post a Comment