Tuesday, December 4, 2018

আমরা সামান্য বিপদ-আপদে কি করি? হতাশ হয়ে পরি এবং আল্লহকে দোশারপ করা শুরু করি কিন্তু দোয়ার মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধান সম্ভব ।

আদি পিতা আদম (আঃ) যখন বিতারীত শয়তানের ধোকায় পরে মহান আল্লাহর আদেশ অমান্য করল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাকে বেহেশত্ থেকে বের করে দিলেন। তখন আদি পিতা (আঃ) কি করে ছিল?
আল্লাহর কাছে নিজের ভুল স্বিকার করে দোয়া করে ছিলেন-
হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা আমাদের নিজেদের উপর যুলুম করেছি ; অতএব আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শামিল হয়ে যাব”
(সূরা আরাফ : আয়াত-২৩)

ইউনুস (আঃ) যখন হতাশ হয়ে আল্লাহর আদেশের অপেক্ষা না করে নিজের সিধান্তেই নিজ জাতিকে পরিত্যগ করে অন্য জাতির সন্ধানে বেরিয়ে পরলেন তখন বিরাটকায় মাছ তাকে গিলে ফেলে।

তিনি (আঃ) যখন মাছের পেটে ছিলেন তখন তিনি কি করেছিলেন?? নিজের ভুল স্বিকার করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করে ছিলেন-
"' আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। নিশ্চয আমি অপরাধী "
তার এই আত্ব স্বীকার উক্তিমূলক বক্তব্যের জন্য আল্লাহ বলেন-
" যদি তিনি তাদের দল ভুক্ত না হতেন যারা সর্বদা আল্লাহর জিকির করে, তবে তিনি কিয়ামত পর্যন্ত পাছের পেটেই থাকতেন "
(৩৭, ১৪৩-১৪৪)

ইউছুফ (আঃ) যখন জুলেখার দ্বারা কু-প্রস্তাবের মুখমুখি হয় এবং তা থেকে বাচার জন্য কি করেন??? আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন-

"হে আল্লাহ এর চেয়ে আমার কাছে জেলখানা বা কারাগারই উত্তম। তুমি আমাকে তাদের ফন্দি হতে বাঁচিয়ে রাখো। যদি তুমি না বাঁচাও, তবে আমি তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়তে পারি এবং অজ্ঞানদের দলভুক্ত হয়ে যেতে পারি।”

উপরের তিনটি ঘটনার একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে নবী রাসূল গন যখন বিপদে পতিত হতেন তখন তারা মহান আল্লাহর কাছে আত্বসমার্পন করতেন এবং লজ্জিত হয়ে দোয়া করতেন।

কিন্তু
আমরা সামান্য বিপদ-আপদে কি করি? হতাশ হয়ে পরি এবং আল্লহকে দোশারপ করা শুরু করি।

No comments:

Post a Comment

মহানবী (স) আগুনকে কিয়ামতের আলামত হিসাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

মহানবী (সা.) আকস্মিক মৃত্যুকে কিয়ামতের আলামত হিসেবে অভিহিত করেছেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই কিয়ামতের...