অনেকে দেখি বারো তেরো ঘন্টা অন লাইনে কাটান।আপনি যদি এফবিতে দিনের বেশির ভাগ সময় নষ্ট করেন তবে হ্যা আপনাকেই বলছি।
বেবি', 'চ্যাটিংডেটিং' দিয়ে
জীবন চলবে না। আপনি যার উপর
ডিপেনডেন্ট, তাকে বাদ দিয়ে
নিজের অবস্থানটা কল্পনা করে
দেখুন। যে গাড়িটা করে
ভার্সিটিতে আসেন, ঘোরাঘুরি
করেন, সেটি কি আপনার নিজের
টাকায় কেনা? ওটা নিয়ে ভাব
দেখান কোন আক্কেলে? একদিন
আপনাকে পৃথিবীর পথে নামতে হবে।
তখন আপনাকে যা যা করতে হবে,
সেসব কাজ এখনই করা শুরু করুন।
জীবনে বড় হতে হলে কিছু ভাল বই
পড়তে হয়,
কিছু ভাল
জায়গায় ঘুরতে হয়, কিছু ভাল মানুষের
সাথে কথা বলতে হয়, কিছু ভাল কাজ
করতে হয়। জীবনটা শুধু হাহাহিহি করে
কাটিয়ে দেয়ার জন্য নয়। একদিন যখন
জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, তখন
দেখবেন, পায়ের নিচ থেকে মাটি
সরে যাচ্ছে, মাথায় আকাশ ভেঙে
পড়ছে। স্কিল ডেভেলাপমেন্টের জন্য
সময় দিতে হয়। এসব একদিনে কিংবা
রাতারাতি হয় না।
আমি আপনার
মত রেজাল্ট করতে চাই। আমাকে কী
করতে হবে?" এটা আমি প্রায়ই শুনি।
আমি বলি, "অসম্ভব পরিশ্রম করতে হবে।
নো শর্টকাটস্। সরি!" রিপ্লাই আসে,
"কিন্তু পড়তে যে ভাল লাগে না। কী
করা যায়?" এর উত্তরটা একটু
ভিন্নভাবে দিই। আপনি যখন
স্কুলকলেজে পড়তেন, তখন যে সময়ে
আপনার ফার্স্ট বয় বন্ধুটি পড়ার
টেবিলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকত, সে
সময়ে আপনি গার্লস স্কুলের সামনে
গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এখন সময়
এসেছে, ও ওখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে
থাকবে আর আপনি পড়ার টেবিলে
বসে থাকবেন।
জীবনটাকে যে সময়ে চাবুক মারতে
হয়, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ
করলে, যে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ
করার কথা, সে সময়ে জীবনটাকে
উপভোগ করতে পারবেন না, এটাই
স্বাভাবিক। এটা মেনে নিন। মেনে
নিতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ান। এখনই
সময়!
. বড় হতে হলে বড় মানুষের সাথে
মিশতে হয়, চলতে হয়, ওদের কথা শুনতে
হয়। এক্ষেত্রে ভার্সিটিতে পড়ার সময়
বন্ধু নির্বাচনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা নিজেদের অজ্ঞাতসারেই
আমাদের চাইতে ইনফেরিয়র
লোকজনের সাথে ওঠাবসা করি,
কারণ তখন আমরা নিজেদেরকে
সুপিরিয়র ভাবতে পারি। এ
ব্যাপারটা সুইসাইডাল। আশেপাশে
কাউকেই বড় হতে না দেখলে বড়
হওয়ার ইচ্ছে জাগে না। আরেকটা ভুল
অনেকে করেন। সেটি হল, ধনীঘরের
সন্তানদের সাথে মিশে নিজেকে
ধনী ভাবতে শুরু করা। মানুষ তার
বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। উজাড়
বনে তো শেয়ালই রাজা হয়। আপনি
কী শেয়ালরাজা হতে চান, নাকি
সিংহরাজা হতে চান, সেটি আগে
ঠিক করুন।
. বিনীত হতে জানাটা মস্ত বড় একটা
আর্ট। যারা অনার্সে পড়ছেন, তাদের
অনেকের মধ্যেই এটার অভাব রয়েছে।
এখনো আপনার অহংকার করার মত কিছুই
নেই, পৃথিবীর কাছে আপনি একজন
নোবডি মাত্র।অযথা সময় নষ্ট না করে,সময়ের কাজ সময়ে করুন।
বিনয় ছাড়া শেখা যায় না। গুরুর কাছ
থেকে শিখতে হয় গুরুর পায়ের কাছে
বসে। আজকাল শিক্ষকরাও সম্মানিত
হওয়ার চেষ্টা করেন না,
স্টুডেন্টরাও সম্মান করতে ভুলে
যাচ্ছে। আপনি মেনে নিন, আপনি
ছোটো। এটাই আপনাকে এগিয়ে
রাখবে।
বড় মানুষকে অসম্মান করার মধ্যে কোন
গৌরব নেই। নিজের প্রয়োজনেই
মানুষকে সম্মান করুন।
Friday, November 17, 2017
আপনি কি জিবনটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে চান???
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মহানবী (স) আগুনকে কিয়ামতের আলামত হিসাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মহানবী (সা.) আকস্মিক মৃত্যুকে কিয়ামতের আলামত হিসেবে অভিহিত করেছেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই কিয়ামতের...
-
১ / যে নারী পর্দা করে না , বেপর্দা হয়ে চলা ফেরা করে । ২ / যারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে দেহে উল্কি ( সুঁচিবিদ্ধ ...
-
এক লোক খুবেই আল্লাহওয়ালা ছিল ।তাকে পথভ্রষ্ট করার জন্য সয়তান তার পিছুনে লেগে থাকতো ।ভোর হলেই সয়তান লোকটির হাত,পা টিপে দিতো যাতে ল...
-
আপনি চাইলেই 10 মিনিটেই আখিরাতের ধনী হতে পারেন,,,,,, একদিন নবী (স) হজরত আলিকে বললেন, (1)চার হাজার দিনার ছদকা করে ঘুমাবেন। (2)এক খতম কোরাআন...
No comments:
Post a Comment