পরনিন্দা ও পরচর্চা জেনা ব্যাভিচার থেকেও গুরুতর পাপ।

নিশ্চয় কেয়ামতের দিন বান্দাকে তার আমলনামা খোলা হবে অবস্থায় দেখানো হবে।সে তাতে এরুপ কত গুলো নেকী দেখবে,যা সে আমল করেনি।তখন সে বলবে,হে প্রভ! আমি এই নেকীগুলো অর্জন করিনি।আল্লাহ বলবেন:লোকগন তোমার কুৎসা ও নিন্দা করেছিল তারই বদলে আমি এই নেকীগুলো লিপিবদ্ধ করেছি।আর অপর এক বান্দার সামনে কেয়ামতে দিন তার আমলনামা খুলে দেওয়া হবে।সে বলবে, হে প্রভ! আমি কি অমুক দিন অমুক পুণ্যকর্ম করিনি? তখন তাকে বলা হবে, 'তুমি লোকদের নিন্দা করতে। ফলে সেসব পুণ্য তোমার আমলনামা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
আল্লাহতালা হযরত মুসা(আ)কে  ওহীর মাধ্যমে জানিয়েছেন! যে ব্যাক্তি পরনিন্দা থেকে তওবা করে এবং মাফ করিয়ে মরবে,সে ব্যাক্তি সকলের শেষে বেহেশতে প্রবেশ করার অনুমতি পাবে।আর যে ব্যাক্তি গীবত করে বিনা তওবায় মারা যাবে,সে সর্বাগ্রে জাহান্নামে যাবে।নাউজুবিল্লাহ।
মহানবী(স) বলেন, হে লোক সকল! যারা মুখে  ঈমান এনেছ কিন্তু ঈমান তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি----তোমরা মুসলমানদের গীবত কর না।এমন কি, তাদের দোষ অন্বেষণ ও কর না।কেননা,যে ব্যাক্তি অন্যের  দোষসমহ অন্বেষণ করতে থাকে,আল্লাহতালা ও তাদের দোষ অন্বেষণ করেন।তবে আল্লাহতালা যার দোষ অন্বেষণ করবেন স্বয়ং তার গৃহেই তাকে অপমানিত  করে ছাড়বেন।
"অতএব,পরনিন্দা ও পরচর্চা থেকে দূরে থাক।কেননা, পরনিন্দা 'যেনা ব্যাভিচার অপেক্ষাও গুরুতর পাপ।''যেনা করার পর অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে আল্লাহ্‌পাক তা কবুল করতে পারেন।কিন্তু গীবত করার পর তওবা করলে, যার সম্বন্ধে গীবত করা হয়েছে,সে  ব্যাক্তি ক্ষমা না করা পযর্ন্ত তওবা কবুল হয় না।
আল্লাহ আমাদের সকলকে পরনিন্দা ও পরচর্চা থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন।আমিন,সুম্মা আমিন।