Thursday, November 23, 2017

ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে 'জাস্ট ফ্রেন্ড' নামে 'হাতাহাতি' প্রথা চলছে।

আসুন এক নজরে দেখে নেই দেশ কতটা এগিয়েছে।ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে 'জাস্ট ফ্রেন্ড' নামে
'হাতাহাতি' প্রথা চলছে। অনেকে আমার কথায় রাগ
করবে।অনেকে বলে থাকেন হাত ধরা কি খারাপ কাজ?? আমরা তো
'ফ্রেন্ড' হিসেবেই হাত
ধরি"
গত তিরিশ বছর আগে ছেলে-
মেয়ে যেখানে ক্লাস
রুমেও কথা বলতে লজ্জা
পেত,
গত বিশ বছর আগে প্রেমিক প্রেমিকার গায়ে ছুতেও
অনেক লজ্জা পেত
সেখানে আজ ক্লাস
মেটের নাম করে ছেলে
মেয়েরা একে অপরের
গায়ে হাত দিচ্ছে, টাচ
করছে, এর নাম
প্রগতীশীলতা। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে আপনি
হবেন রুচীহীন, হীন মন্য, ক্ষ্যাত।
এই 'জাস্ট ফ্রেন্ড' কালচার শুরুর উদ্দেশ্য একটাই- হাতাহাতির 'বৈধতা'।
অর্থাৎ একটা মেয়ের গায়ে ইচ্ছা হলেই আপনি হাত
দিতে পারবেন না, তার প্রেমিক হলে পারবেন, শুধু হাত দিতেই না অনেক কিছুই করতে পারবেন।হাহাহা ভাবতে পারেন দেশ কতটা এগিয়েছে। কিন্তু তাও
তো মাত্র একজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু জাস্ট ফ্রেন্ড হলে আপনি আপনার ক্লাসের প্রায় সব মেয়ের গায়ে যখন তখন বিভিন্ন উছিলায় হাত দিতে
পারবেন।
ধরুন ক্লাসের একটি মেয়ের গায়ে আপনি হাত দিতে চাচ্ছেন, মেয়েটা দেখতে
অনেক সুন্দরী, কিন্তু তার সাথে আপনি প্রেম করতে পারছেন না। তাহলে 'জাস্ট ফ্রেন্ড' হবার উছিলায় তার সাথে হ্যান্ডশেক করলেন। ব্যস, হাত ছয়াছোয়ি হয়ে
গেল। তার হাতের ঘড়ি
দেখার উছিলায় হাত ধরে
বলবেন "তোর ঘড়িটা তো
অনেক সুন্দর!" এরপরে মেয়েটির হাত ধরেই দশ
মিনিট ধরে সেই ঘড়ি নিয়ে গবেষনা করতে পারবেন।
কেউ বাঁধা দিবে না,
মেয়েটিও না, মেয়েটিও
তো মজা পাচ্ছে। সে
বাঁধা দিবে কেন?
আগে শুধু হাত ধরাধরি করা হত। এখন যুগ এক ধাপ এগিয়ে গেছে। এখন হাতের সাথে
যোগ হয়েছে 'হাগ'! এই 'হাগ' শব্দটার সাথে 'হাগা'
শব্দের যথেষ্ঠ মিল থাকলেও হাগার সাথে হাগের কোন সম্পর্কই নেই।
হাগ মানে কোলাকোলি
যা আমরা ঈদের দিনে ছেলেরা-ছেলেরা ও মেয়েরা-মেয়রা করে
থাকে। র্থাৎ ঈদ পুজা পার্বণ পূর্ণিমা (নায়িকা পূর্ণিমা না, বৌদ্ধ পূর্ণিমা) ছাড়াও যেকোণ দিনে
একে অপরের সাথে
কোলাকোলি করে। কিন্তু কথাটা এখানেও সীমাবদ্ধ থাকত যদি না ছেলে-
ছেলে, মেয়ে-মেয়ে
কোলাকোলি করত। সমস্যা
হল, এসব হাগের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে হচ্ছে অর্থাৎ
চার জন ছেলে ও পাঁচ জন
মেয়ে 'জাস্ট ফ্রেন্ড' এক সাথে হলে ছেলে-মেয়ে
হাগ করে আর সম লিঙ্গের মধ্যে 'খুব বেশি হলে' হ্যান্ডশেক এর ঘটনা ঘটে! অর্থাৎ এখানে রয়েছে
পুরাই শরীরের টান!!! অর্থাৎ ক্লোজ আপের মত "কাছে
এসো কাছে এসো"।যদি এই ছেলেমেয়ের গুলোর মধ্যে সামান্যতম ইসলামের জ্ঞান থাকতো তাহলে হাগাহাগির ধারের কাছেও যেত না। sry হাগ।আমরা যতই আধুনিক হচ্ছি ততই বেহায়াপনা আর নিলজ্জতায় মেতে উঠছি।জন্মিলে মরতে হবে এবং এবং প্রত্যেকে তার কর্মফল ভোগ করবে মৃত্যের পর।তাই সবার কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, আসুন আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ পরবারকে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলি।

No comments:

Post a Comment

মহানবী (স) আগুনকে কিয়ামতের আলামত হিসাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

মহানবী (সা.) আকস্মিক মৃত্যুকে কিয়ামতের আলামত হিসেবে অভিহিত করেছেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই কিয়ামতের...